প্রাকৃতিক উপায়ে কিডনির পাথর দূর করা

প্রকাশঃ মে ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

kidnir pathorঅনেকেই কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ঔষধে সেরে যায়, অনেক ক্ষেত্রে পাথর ভেঙে বের করতে হয়, আবার বড় পাথর বা অবস্থা গুরুতর হলে অপারেশনও করতে হয়। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে সেটা অনেকসময় সমাধান করা সম্ভব। তাই আজ সবাইকে জানাতে চাই কিডনিতে পাথর সমস্যা প্রতিকারের জন্য সত্যিকারভাবে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ একটি রাশিয়ান ভেষজ রেসিপি। এই রেসিপিটি কিডনিকে পরিষ্কারে সাহায্য করে, মিউকাস নিঃসরণে এবং বালি ও ছোট ছোট পাথর বের করে দিতে সাহায্য করবে মাত্র ১০-১৫ দিনে।

millet বা “বাজরা” হচ্ছে একপ্রকার সাশ্রয়ী খাদ্যশস্য যা কিডনিতে থাকা পাথর অপসারণের চিকিৎসায় এর ভূমিকা অসামান্য। অনেকেই হয়তো একে চেনেন না, অনেকে আবার পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। এই বাজরা দিয়ে রুটিও তৈরি করা যায়। অনেকেই দাবি করেন যে, এই বাজরা কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

গ্রাম্য ঔষধে এই বাজরা urolithiasis রোগের (প্রস্রাবের সাথে পাথর বের হয়ে ইউরিনারী সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি করে যে রোগে) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটা কার্যকরীভাবে কিডনিকে পরিস্কার করে, বালি ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, কিডনি ও মুত্রাশয়ের ছোট ছোট পাথর বের করে দেয় এবং মহিলাদের cystitis রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এছাড়া এই জোয়ার হচ্ছে উচ্চ পুষ্টিমান ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন এক বিশেষ ধরণের খাদ্যশস্য।

কিডনিতে থাকা পাথর দূরীকরণের পদ্ধতিঃ

২০০ গ্রাম (১ কাপ) বাজরা নিয়ে কুসুম গরম পানিতে খুব ভালোভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। এটা করতে হবে রাতের বেলা তাহলে ভালভাবে ভিজবে। তারপর সেই ভেজানো বাজরাগুলো ৩ লিটার ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাত্রে নিয়ে এর ২/৩ অংশে ফুটন্ত গরম পানি দিতে হবে এবং পাত্রটির মুখ খুব ভালোভাবে বন্ধ করে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে পাত্রটিতে একধরনের সাদা ঘোলাটে তরল পাওয়া যাবে। এটাই হচ্ছে সেই কাঙ্খিত ঔষধ। এখন এই পানিটি অন্য একটি পাত্র বা বোতলে নিয়ে নিন এবং সারাদিন যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণে পান করুন কোন বাধা নিষেধ ছাড়াই।

আর বাজরা গুলো ফেলে না দিয়ে রান্না করে সকালের স্বাস্থ্য সম্মত নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। এক কাপ বাজরার সাথে ৩ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ফুটালেই তৈরি হয়ে যাবে সকালের নাস্তা। প্রতিদিন রাতে আবার পরবর্তী দিনের জন্য নতুন করে বাজরার পানি তৈরি করে রাখুন একই প্রক্রিয়াতে। এভাবে প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে ১০-১৫ দিন নিয়মিত এই পানীয়টি খেতে হবে। এই ১০-১৫ দিনের মাঝে কিডনি পরিস্কারের পাশাপাশি এতে থাকা পাথর নরম হয়ে গলে প্রসাবের সাথে বেড়িয়ে যাবে। । ফোলা কমে গিয়ে কিডনী ও মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলো সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিয়ে আসবে।

এই খাদ্যশস্যটি প্রতেকের জন্য প্রযোজ্য, সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য এবং এটি যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা হয় তবে তা অবশ্যই কিডনির জন্য স্বাস্থ্যকর হবে। যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ প্রয়োজন বিশেষ করে শরীরের সম্ভাব্য রোগ এড়ানোর জন্য এবং প্রাকৃতিক উপায়ে একে পরিষ্কার রাখার জন্য।

এছাড়া লেবু এবং জলপাই তেলের মিশ্রণ তৈরি করে খেলে তা পিত্তথলি এবং কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে।

তথ্য সূত্রঃ ইউর স্টাইলিস্ট লাইফ

প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G